শিরোনাম
দক্ষিণখানে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ তরুন ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তার সাহসিকতায় ছিনতাইকারী আটক মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির মহাসচিব সগীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই রেজাউলের মাদক ও মামলা বাণিজ্য রেজিস্ট্রার মামুন এর বিরুদ্ধে হত্যা, নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অভিযোগ তারেক রহমান কে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে  বেকুসুর খালাস প্রদান করায় উত্তরায় আনন্দ মিছিল দল বেঁধে যুবদল নেতার উপর হামলা,থানায় মামলা, ফেসবুকে অপপ্রচারের শিকার – শাকিল বকেয়া বেতনের দাবিতে মাহমুদ জিন্স ডিএমডিকে শ্রমিকরা পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বিএনপি নেতা সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় অরাজনৈতিক ডিজিটাল প্লাটফর্ম “সংযোগ নোফেল” এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৩ অপরাহ্ন

জন্মনিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতি সবচেয়ে নিরাপদ?

রিপোটারের নাম / ৪১৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বিপুল জনসংখ্যার এ দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তৃণমূলে এখনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে রয়েছে নানা ভুল ধারণা। পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নারীরা জন্মনিয়ন্ত্রণের টেকসই ও নিরাপদ পদ্ধতি কোনটি সেটি নিয়ে দ্বিধায় থাকেন।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি শুধু নারীদের ক্ষেত্রে না পুরুষদের ক্ষেত্রেও আছে। সবচেয়ে কার্যকর হলো— পুরুষদের জন্য ভেসেকটমি আর নারীদের ক্ষেত্রে টিউবাল লাইগেশন বা টিউবেকটমি।

এ পদ্ধতি কার্যকর তাদের ক্ষেত্রে করা হয়, যাদের পরিবার সম্পূর্ণ আছে অর্থাৎ তাদের আর ভবিষ্যতে সন্তানের প্রয়োজন নেই।

যারা ২ বছর বা পাঁচ বছরের মধ্যে বাচ্চা নিতে চান না, বিয়ের পর একটু সময় নিয়ে বাচ্চা নিতে চান, তাদের ক্ষেত্রে মুখে খাওয়ার বড়ি নিরাপদ। বিভিন্ন ধরনের মুখে খাবার বড়ি বা পিল আছে, সেটা অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শমতো গ্রহণ করতে হবে। কারণ অনেকের উচ্চরক্তচাপ থাকতে পারে, তীব্র মাথাব্যথার সমস্যা থাকতে পারে বা মাইগ্রেন, কোনো ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে, সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শমতো সেবন করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
আইইউডি (intrauterine contraceptive device), ইমপ্ল্যান্ট ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে নারীদের জন্য, যা একজন চিকিৎসক নারীর স্বাস্থ্য চেকআপ করে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি দেখভাল করে।
স্বল্পমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে মুখে খাওয়ার পিল, ইনজেকশন ইত্যাদি।

কর্মজীবী নারী
পেশাজীবী-কর্মজীবী নারীদের ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চিন্তাভাবনা করে শুরুতেই পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ অবাঞ্চিত গর্ভপাত স্বাস্থ্যের জন্য কুফল বয়ে আনে।
যখন সন্তান নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে, চিকিৎসকের পরামর্শমতো চেকআপ করে সন্তান নিতে হবে। কারণ একটি সুস্থ সন্তান উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়।

নববিবাহিত
কেউ নতুন বিয়ে করেছেন, এখনই সন্তান নিতে যাচ্ছেন না। অথবা বিয়ের কয়েক বছর পার হয়ে গেছে তবু আরও একটু দেরিতে বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন; হয়তো জীবনটা আরেকটু সাজিয়ে কর্মক্ষেত্রে আরও কিছু সময় কাজ করে সময় নিয়ে বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন। তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

মুখে খাওয়ার পিল
যাদের উচ্চরক্তচাপ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে মুখে খাওয়ার পিল স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে।
যাদের বয়স ৩৫-এর বেশি, এক-দুটি সন্তান রয়েছে, তারা এখন বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন না। তাদের ক্ষেত্রে কপার-টি বা স্থায়ী পদ্ধতি কার্যকর।

ইমপ্ল্যান্ট দুই ধরনের
একটা তিন বছর, একটা পাঁচ বছর মেয়াদি। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমতো পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে হবে। নারীদের জন্য কাউন্সেলিং করে সব বিবেচনা এনে কোনটি তার শরীরের জন্য উপযোগী তা পর্যালোচনা করে উপদেশ দেওয়া হয়।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার নির্ভর করে স্বাচ্ছন্দ্য, দৈনন্দিন জীবন এবং শারীরিক অবস্থার ওপর।

জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি
মিক্সড বড়ি ইস্ট্রোজেন প্রজেস্টেরন দুটি থাকে বা প্রজেস্টোরন বড়ি বা মিনি পিল। জরায়ুতে আইইউডি (intrauterine device)

ইমপ্ল্যান্ট পদ্ধতি
স্থায়ী পদ্ধতি ভ্যাসেকটমি বা লাইগেশন; সুবিধামতো যে কোনো একটি নেওয়া যায়। তবে সেটা নির্ভর করবে তার শারীরিক অবস্থার ওপর।

কর্মজীবী নারীরা একটু সময় নিয়ে বাচ্চা নিতে চান অথবা একটি বাচ্চা নেওয়ার পর ৩ থেকে ৪ বছরের সময় নিয়ে নিতে চান।

তাদের ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কমানোর জন্য আবশ্যিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে, যেন অবাঞ্চিত গর্ভপাত না ঘটাতে হয়। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি শহর থেকে গ্রামে প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসকের পরামর্শমতো নারীদের শরীরের উপযোগী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে সুস্থতা প্রয়োজন।

লেখক: আয়েশা আক্তার
সহকারি পরিচালক
২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ