শিরোনাম
দক্ষিণখানে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ তরুন ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তার সাহসিকতায় ছিনতাইকারী আটক মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির মহাসচিব সগীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই রেজাউলের মাদক ও মামলা বাণিজ্য রেজিস্ট্রার মামুন এর বিরুদ্ধে হত্যা, নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অভিযোগ তারেক রহমান কে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে  বেকুসুর খালাস প্রদান করায় উত্তরায় আনন্দ মিছিল দল বেঁধে যুবদল নেতার উপর হামলা,থানায় মামলা, ফেসবুকে অপপ্রচারের শিকার – শাকিল বকেয়া বেতনের দাবিতে মাহমুদ জিন্স ডিএমডিকে শ্রমিকরা পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বিএনপি নেতা সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় অরাজনৈতিক ডিজিটাল প্লাটফর্ম “সংযোগ নোফেল” এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন

সৎ মানুষ অনলাইনে বেশি ফাঁদে পড়ে: গবেষণা

রিপোটারের নাম / ৫১৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪

কেন মানুষেরা অনলাইনে প্রতারিত হয়—সম্প্রতি এ বিষয়ের ওপর একটি গবেষণা করেছিলেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকেরা। পরে তাদের এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি কমিউনিকেশনস সাইকোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

এ গবেষণায় দেখা গেছে, সৎ মানুষেরা অনলাইনে বেশি ফাঁদে পড়েন।

মানুষ কিভাবে অনলাইনে মিথ্যা শনাক্ত করে তার অন্তর্নিহিত আকর্ষণীয় নিদর্শনগুলো তুলে ধরা হয়েছে এ গবেষণায়। গবেষণাপত্রের সহ-লেখক তালি শারোট এবং সারাহ ঝেং মেডিকেল এক্সপ্রেসকে জানান, সারা বিশ্বে প্রতি বছর অনলাইনে প্রতারিত হয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। বিশেষ করে করোনা মহামারির পর থেকে এ প্রবণতা বেড়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবির্ভাবও পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে অনলাইনে প্রতারণা শনাক্ত করার আগে গবেষকেরা বুঝতে চেয়েছিলেন—মানুষেরা কেন অনলাইনের ফাঁদে পড়ে যায়।

গবেষকেরা জানান, অফলাইন বা মুখোমুখি অবস্থান থেকে একজন মানুষ কিছু সূক্ষ্ম ইঙ্গিতের ওপর ভর করে প্রতারণা শনাক্ত করার চেষ্টা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ—কোনো ব্যক্তির অভিব্যক্তি, আচরণ বা অঙ্গভঙ্গি দেখে তার প্রতারণা সম্পর্কে আঁচ করতে পারে অন্য মানুষ। কিন্তু অনলাইনে তো এমনটি সম্ভব নয়। তাই অনলাইনে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে ৩১০ জন মানুষের ওপর একটি পরীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষার অংশ হিসেবে তাদের সবাইকে অনলাইনে জোড়ায় জোড়ায় একটি কার্ড খেলায় অংশ নিতে বলা হয়। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু কার্ডের মাধ্যমে অর্থ আয় হবে, আর অন্যগুলো আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

খেলাটিতে মিথ্যা বলে অন্যকে ঠকিয়ে চাতুর্যের মাধ্যমে চাইলে বেশি অর্থ আয় করার সুযোগ ছিল। যদিও মিথ্যা বলার জন্য কাউকেই নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

খেলার শেষে অংশগ্রহণকারীরা তার প্রতিপক্ষকে কতটা সৎ ভেবেছিলেন সেই সম্পর্কে রেটিং করতে বলা হয়েছিল।

গবেষকেরা বলেন—আমরা দেখতে চেয়েছিলাম, প্রতিপক্ষের সততা যাচাইয়ের একজন কী কী সূত্র ব্যবহার করছেন। যেমন, কেউ যখন প্রতিপক্ষকে মিথ্যা বলেন, তখন তিনি প্রতিপক্ষকেও একইরকম মিথ্যাবাদী ভাবছেন কি-না। বিশেষ করে কেউ যখন কোনো ভালো কার্ড পাওয়ার দাবি করছে তখন প্রতিপক্ষ বিষয়টিকে কতটুকু সন্দেহের চোখে দেখছে। আবার কেউ হেরে গেলে তিনি প্রতিপক্ষকে মিথ্যাবাদী ভাবছেন কি-না।

এ ক্ষেত্রে গবেষকেরা দুটি দিক পর্যবেক্ষণ করেছেন। প্রথমত তারা দেখেছেন, খেলাটিকে যারা প্রতিপক্ষকে মিথ্যা বলেছেন, তারা প্রতিপক্ষের প্রতিও অনেক সন্দিহান ছিলেন। দ্বিতীয়ত, তারা সন্দিহান ছিলেন যখন প্রতিপক্ষ পরিসংখ্যানগতভাবে একটি ভালো কার্ড পাওয়ার দাবি করেছিল।

গবেষকেরা খেলোয়াড়দের আচরণকে একটি কৃত্রিম মিথ্যা শনাক্তকারী যন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এই পদ্ধতিতে তারা দেখেছেন—দুর্বল মিথ্যা শনাক্তকারী ব্যক্তি নিজের সততার (বা অসততা) ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করেছিলেন।

শারোট এবং ঝেং বলেন, ফলাফলগুলো ইঙ্গিত করে, সৎ মানুষেরা ফাঁদে পড়ার বিষয়ে সংবেদনশীল হতে পারে। কারণ মিথ্যা বা ফাঁদ শনাক্ত করার ক্ষেত্রে তারা কম সন্দিহান থাকেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ