শিরোনাম
দক্ষিণখানে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ তরুন ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তার সাহসিকতায় ছিনতাইকারী আটক মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির মহাসচিব সগীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই রেজাউলের মাদক ও মামলা বাণিজ্য রেজিস্ট্রার মামুন এর বিরুদ্ধে হত্যা, নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অভিযোগ তারেক রহমান কে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে  বেকুসুর খালাস প্রদান করায় উত্তরায় আনন্দ মিছিল দল বেঁধে যুবদল নেতার উপর হামলা,থানায় মামলা, ফেসবুকে অপপ্রচারের শিকার – শাকিল বকেয়া বেতনের দাবিতে মাহমুদ জিন্স ডিএমডিকে শ্রমিকরা পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বিএনপি নেতা সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় অরাজনৈতিক ডিজিটাল প্লাটফর্ম “সংযোগ নোফেল” এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ন

সেই জিয়াউল হকের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

রিপোটারের নাম / ১৪০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তঘেঁষা ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হক (৯১)। প্রত্যান্ত অঞ্চলের এই ব্যক্তি দই বিক্রি করে জীবন ধারণের পাশাপাশি সেই টাকায় গড়ে তোলেন লাইব্রেরি ও একটি বিদ্যায়তন। তার এই অবদানের জন্য সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে সরকার এবার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করেছে।

জিয়াউল হকের এ অবদানের প্রশংসা করে তার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জিয়াউল হকের প্রতিষ্ঠিত পাঠাগারের জন্য একটি ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন সরকারপ্রধান। একই সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি সরকারি করার ব্যবস্থা করা যায় কি না- সে উদ্যোগও নেবেন বলে জানান শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার সকালে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে ‘একুশে পদক-২০২৪’ প্রদানকালে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জিয়াউল হক দই বিক্রির টাকায় আরও অনেক সেবামূলক কাজ করছেন। এ ছাড়া স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দেওয়াসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অনুদান দেন সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত জিয়াউল হক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউল হককে পুরস্কৃত করতে পেরে আনন্দিত এই জন্য যে আমরা সারা দেশে যদি খোঁজ করি এরকম বহু গুণিজন পাব। হয়ত দারিদ্র্যের কারণে, না হয় কোনো সামাজিক কারণে তারা নিজেদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাননি। কিন্তু সমাজকে কিছু তারা দিয়েছেন, মানুষকে দিয়েছেন, সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। তারা মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করেছেন। হয়ত যে অর্থ তিনি উপার্জন করেছেন তা দিয়ে আরও ভালোভাবে বাঁচতে পারতেন, জীবন গড়ে তুলতে পারতেন। কিন্তু নিজের উন্নতি বা ভোগবিলাসের দিকে না তাকিয়ে তিনি জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন যারা লেখাপড়া করতে পারছে না তাদের জন্য।

যারা সমাজের উচ্চস্তরে আছেন তাদের এ ধরনের ত্যাগী মানুষগুলোকে খুঁজে বের করার অনুরোধ জানান সরকারপ্রধান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ