শিরোনাম
দক্ষিণখানে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ তরুন ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তার সাহসিকতায় ছিনতাইকারী আটক মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির মহাসচিব সগীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই রেজাউলের মাদক ও মামলা বাণিজ্য রেজিস্ট্রার মামুন এর বিরুদ্ধে হত্যা, নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অভিযোগ তারেক রহমান কে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে  বেকুসুর খালাস প্রদান করায় উত্তরায় আনন্দ মিছিল দল বেঁধে যুবদল নেতার উপর হামলা,থানায় মামলা, ফেসবুকে অপপ্রচারের শিকার – শাকিল বকেয়া বেতনের দাবিতে মাহমুদ জিন্স ডিএমডিকে শ্রমিকরা পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বিএনপি নেতা সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় অরাজনৈতিক ডিজিটাল প্লাটফর্ম “সংযোগ নোফেল” এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

বিয়ের ৫ বছর পর যুবকের বরযাত্রা

রিপোটারের নাম / ১৫৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

পালিয়ে বিয়ের পাঁচ বছর পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে নেওয়ায় এবার সন্তানকে সঙ্গে করে বিশাল মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বরযাত্রী হয়ে শ্বশুরালয়ে গেলেন যুবক। একই ধরনের পোশাকে বরের সঙ্গে চার বছরের ছেলেসহ ১৬৩ জন বরযাত্রী নিয়ে যান ওই যুবক।

বৃহস্পতিবার ঘটে যাওয়া অভিনব এ বিষয়টি নিয়ে এলাকার যুবকদের মধ্যে নানা মুখরোচক আলোচনা চলছে। ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। সন্তানের সঙ্গে বরযাত্রীর ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

জানা গেছে, পরিবারের মত না থাকায় খাদিজা আক্তার সেতুকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন মো. এনায়েত হোসাইন (৩০)।
এনায়েত ওই গ্রামের মোতালেব মাতুব্বরের ছেলে। আর তার সহধর্মিণী খাদিজা আক্তার একই গ্রামের কুদ্দুস মাতুব্বরের মেয়ে। বিয়ের সময় পার্শ্ববর্তী সাড়ুকদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন খাদিজা।

আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শহিদুল হাসান খান সোহাগ জানান, বিয়েটা হয়ে গেলেও মেনে নেয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ যুগলের কোলজুড়ে আসে সন্তান মো. সামি। তবুও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ক্ষোভের বরফ গলেনি। উলটো কনের পরিবারের করা মামলায় ২০২২ সালে ২৫ দিন জেলও খাটতে হয় এনায়েতকে। পরে জামিন পান তিনি। এর মধ্যে ফরিদপুর শহরে ‘নিউ লাইফ’ নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ব্যবস্থাপকের চাকরি পান এনায়েত। পরে হাসপাতালটির মালিকানা কিনে হয়ে যান পরিচালকও।

সোহাগ আরও বলেন, এভাবে চলার পাঁচ বছর পর আমার মধ্যস্ততায় সমাধান হয় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে। ওই বিয়ে মেনে নেয় মেয়ের পরিবার। অবশেষে উভয় পরিবারের সম্মতিতে ধুমধাম করে আয়োজন করা হয় এই দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠানের।

এনায়েত বলেন, আসলে অনেক কষ্টের পরে আমাদের বিয়ে মেনে নিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অনেক কষ্ট ও সাধনায় গড়া আমাদের ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় অনেক আনন্দিত আমি। আমার ইচ্ছা ছিল মানুষকে এটা প্রমাণ করে দেখাব ধৈর্য ধরলে ভালোবাসার জয় একটা সময় হয়। সেটার প্রমাণ দেখাতে পেরে আমি আজ সত্যিই গর্বিত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ